নিউজ ডেস্ক: শনিবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’। অনুষ্ঠানটি সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটির ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এসবিএস-এর প্রেসিডেন্ট মুহম্মদ হাফিজুর রহমান।
অনলাইনভিত্তিক এই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে এসবিএস-এর প্রেসিডেন্ট মো. হাফিজুর রহমান হাইকমিশনারের সফল কর্মজীবনের কথা তুলে ধরেন।
জানা গেছে, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন। এই পদে যোগদানের আগে তিনি ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউনাইটেড নেশনস উইংয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৮৯ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল-এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া প্যারিসের স্কুল অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএনএ) এর আওতাধীন আন্তর্জাতিক পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইনস্টিটিউট থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটিতে ল অব দ্য সি-এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ফরেইন সার্ভিসে যোগদান করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কলকাতায় উপ-হাইকমিশনার ছিলেন। পাশাপাশি জেনেভা, নিউইয়র্ক এবং প্যারিসে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন কূটনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনসহ দেশ-বিদেশে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি জাতিসংঘের যৌথকর্মী পেনশন তহবিলের একজন নির্বাচিত বোর্ড সদস্য।
হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বিদায়ী বক্তব্যের শুরুতে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটি ও সংশ্লিষ্ট সকল বাংলাদেশিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসা দেখে আমি সত্যিই আপ্লুত’।
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে এসেছি দেখতে দেখতে চার বছর হয়ে গেল। আমি এখানে আসার পর কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। এখন হিসেব করে দেখি আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। সিঙ্গাপুরে আমার স্মরণীয় ঘটনা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিঙ্গাপুর সফর। এর আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপ্রধান সরকারি সফরে সিঙ্গাপুর আসেননি।
হাইকমিশনার বলেন, আমার সৌভাগ্য যে এটি আমার কার্যকালে হয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। সে সময় ৬টি চুক্তি সই হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের অন্যতম কাজ হলো প্রবাসীদের সেবা দেয়া। হাইকমিশনে যোগদানের পর থেকে সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। হাইকমিশনকে শ্রমিকবান্ধব করার সবরকমের প্রচেষ্টা করেছি।