ঘোষণা ডেস্ক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস দমনে গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সন্ত্রাস দমনে পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে রোল মডেল মনে করে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ) আয়োজিত ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, একাত্তর টেলিভিশনের এমডি মোজাম্মেল বাবু, দেশ টিভির বার্তাপ্রধান সুকান্ত গুপ্ত অলকসহ প্রমুখ।
মনিরুল ইসলাম বলেছেন, একটা ঘটনা ঘটার পর মিডিয়া প্রচার করার পর জনগণ এবং সরকারকে প্রভাবিত করে যার ফলে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাময় সম্ভব। এছাড়া মিডিয়ার সহায়তা নিয়েই আমরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার করি। বিশ্বের কয়েকটি দেশের সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও ঝুঁকি মুক্তির দিক থেকে ছয় ধাপ এগিয়ে ৩১তম অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস দমনে গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একটা ঘটনা ঘটার পর মিডিয়া প্রচার করার পর জনগণ এবং সরকারকে প্রভাবিত করে যার ফলে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাময় সম্ভব। এছাড়া মিডিয়ার সহায়তা নিয়েই আমরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার করি। সন্ত্রাস দমনে পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে রোল মডেল মনে করে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় টেরোরিস্টরাও মিডিয়া কাভারেজ চায়। যদি তাদের মতো করে কাভারেজ না হয় তাহলে টেরোরিস্টরাও মিডিয়া এবং মিডিয়াকর্মীদের ওপর আঘাত করে। লাইভ টেলিকাস্টের সময় সচেতন থাকা দরকার। কারণ একটা ঘটনার সময় যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে থাকে সেটা যদি লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে জঙ্গিরা জানতে পারে তাহলে তারা বেছে বেছে তাদের ওপরে হামলা করবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনায় লাইভ টেলিকাস্ট না করাটাই ভালো।