ঘোষণা ডেস্ক : দীর্ঘ দিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে ভারতীয় ভূ-তত্ত্ব সর্বেক্ষণ (জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া) সম্প্রতি ওই স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছে। ভারত জুড়ে অর্থনৈতিক ঝিমুনি নিয়ে এক দিকে যখন আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক সেইসময়েই কুবেরের ধনের সন্ধান মিলল এই দেশটির বুকে। সবমিলিয়ে সেখানে প্রায় ৩ হাজার টন সোনা মজুত রয়েছে। এই মুহূর্তে গোটা দেশে সংরক্ষিত মোট সোনার পরিমাণের চেয়ে যা প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

সোন পাহাড়ি ও হরদি ব্লক এলাকায় দু’টি স্বর্ণখনির খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। সোন পাহাড়ির খনিতে ২ হাজার ৯৪৩.২৬ টন সোনা রয়েছে বলে ধারণা গবেষকদের। হরদি ব্লক এলাকার খনিটিতে রয়েছে প্রায় ৬৪৬.১৬ কেজি সোনা। সবমিলিয়ে যার বাজারমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা।

ইংরেজ শাসকদের হাত ধরেই সোনভদ্রে প্রথম সোনার খোঁজ শুরু হয়। ১৯৯২-৯৩ নাগাদ ভারত সরকার সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। তার পর গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে সোনার সন্ধান অব্যাহত ছিল সেখানে। তাতেই জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ওই দুই খনির খোঁজ পেয়েছে।

ভারতে সোনার ব্যবহার মূলত গয়নার জন্যই। তার জন্য প্রতি বছর বিদেশ থেকে সোনা আমদানি করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ সোনা হাতে পেলে আমদানি বাবদ খরচ কমানো যাবে বলে আশাবাদী শিল্পমহল।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল প্রদত্ত হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সারা দেশে ৬২৬ টন সোনা সংরক্ষিত রয়েছে। অর্থাৎ সোনভদ্রের দু’টি খনিতে তার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি সোনা রয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে খুব শীঘ্র সেগুলি নিলাম করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *