ঘোষণা ডেস্ক: বরগুনায় এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিহত হামিদা বেগম (৪৫) পাথরঘাটা উপজেলার বাচ্চু মিয়ার (৫৬) স্ত্রী।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম ইসমাইল হোসেন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাচ্চু মিয়া উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত কৌঁসুলি (পিপি) আকতারুজ্জামান বাহাদুর। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কমল কান্তি দাস।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৭ আগস্ট রাতে স্ত্রী হামিদার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বাচ্চু মিয়া। এতে হামিদা ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্ত্রীর মৃতদেহ ওই রাতেই বাড়ির খাল পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন তিনি।
বাচ্চু মিয়া পরের দিন স্ত্রীর বাবার বাড়ি গিয়ে বলেন, হামিদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চুর কথা ও আচরণে শ্বশুর বাড়ির সবার ও গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও হদিস করতে না পেরে ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরে বাচ্চুকে আটক করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
পরে তাকে চাপ দিলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওই দিনই বাচ্চুকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হামিদার মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এস এ আখি