ঘোষনা ডেস্ক: আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্মেলন ছাড়া দলের কোনো কমিটি করা যাবে না। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোনো কমিটি ভাঙা যাবে না। কেন্দ্র ছাড়া কেউ কাউকে সরাসরি বহিষ্কার করতে পারবেন না।

আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। দলের ঢাকা বিভাগের অধীন সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে এই সভা হয়।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আবদুর রহমান, শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোহাম্মদ মন্নাফি, পানি সম্পাদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নিতে তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নিতে তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক জায়গায় দেখা যায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছে, ৮-১০ বছর হয়ে গেছে আর কেউ নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিচ্ছে, কিন্তু অনুমোদন পেতে পেতে ছয় মাস। সম্মেলন করতে বললে বলেন, আমাদের তো মেয়াদ শেষ হয়নি। সম্মেলন যেদিন থেকে হবে, ক্ষণগণনা সেদিন থেকে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নেন।

কাদের বলেন, এখন থেকে কেন্দ্রের পরামর্শ ছাড়া আওয়ামী লীগে কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। কমিটিও ভাঙা যাবে না। পকেটের লোক দিয়ে কমিটি না করার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কমিটি করতে গিয়ে নিজের লোক পকেটে ঢুকাবেন না। এতে দলের কোনো লাভ হবে না। দল ভারী করার জন্য আজ বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনবেন না। ঘরে বসে কমিটি করবেন না।

এপ্রিল থেকে সম্মেলনের কাজ পুরোদমে শুরু হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোট ২৯টি সম্মেলন করেছি। এর মধ্যে দুটি ঢাকা সিটির। কিন্তু ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত কোনো সম্মেলন হয়নি। শেখ হাসিনার বড় নির্দেশনা হচ্ছে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন এপ্রিল থেকে পুরোদমে শুরু হবে।

এস এ আখি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *