পরমাণু চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে ইরানের ওপর পাঁচ বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল জাতিসংঘ। ২০২০ সালে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে দেশটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কিনবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ‘জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে ইরান রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক জঙ্গী বিমান ও ট্যাংক কিনতে পারে। তবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। আল মনিটর, টাইমস অব ইসরায়েল

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রতিদ্বন্দী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও গত কয়েক দশকে সামরিক দিক থেকে বেশ উন্নতি করেছে। এখনো সত্তরের দশকের যুদ্ধবিমান এবং ট্যাংক ব্যবহার করলেও তারা ড্রোন, মিসাইলসহ বিভিন্ন অস্ত্র তৈরিতে দ্রুত উন্নতি করছে। সম্প্রতি দেশটি মার্কিন সেনাবাহিনী ও উপসাগরে চলাচল করা জাহাজগুলোর ওপর নজর রাখতে বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করছে।এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রও অন্যান্য দেশে হামলার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাইবার সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে তেহরান। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে প্রবল অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে ইরান। এবছর তাদের সামরিক বাজেটও বেশ কম ছিল এবং নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকলে ভবিষ্যতে তা আরো কমে যেতে পারে। বেকারত্বের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতিসহ অন্যান্য সামাজিক অসঙ্গতির কারণে ইরানি জনগণকে বিক্ষোভে নামতে দেখা যাচ্ছে। বাজেট সংকটের কারণে সামরিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তেহরানকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ ছাড়াও ইরান অবৈধভাবে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যয় করছে বলেও দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *