ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৯ সালের ১০ জুন, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডে। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ১৯৮২ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার হিসেবে তিনি দায়িত্বরত আছেন। প্রবাসে শ্রম রপ্তানি, অভিবাসী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, সৌদি আরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নির্যাতনসহ অভিবাসনের নানা বিষয় নিয়ে তিনি   কথা বলেছেন।

প্রশ্ন : প্রবাসে শ্রম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি কোনো ধরনের বাজার গবেষণা/জরিপ করে থাকে? মধ্যপ্রাচ্য বা অন্যান্য দেশে শ্রমিক পাঠানোর জন্য এমন গবেষণা জরুরি বলে মনে করেন কি?
তাসনিম সিদ্দিকী : হ্যাঁ গবেষণার প্রয়োজন তো অবশ্যই আছে। মার্কেট রিসার্চ তো করতেই হবে। বাংলাদেশ কিছু বাজার গবেষণা করেছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বা আইওএমের সহায়তায় একেকটা দেশ বিশেষে তারা কিছু স্টাডি করেছে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে গবেষণা করেছে তা পর্যাপ্ত নয়। এক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টর, মার্কেটিং এজেন্সিগুলো যেভাবে গবেষণা করে থাকে, সেভাবে গবেষণা করা উচিত। এখন যে গবেষণা হয়েছে তা শুধুমাত্র গবেষণা।

আর গবেষণা অবশ্যই জরুরি। মার্কেট রিসার্চের অর্থ হলো আগামী পাঁচ বছরে বা দশ বছরে ওই দেশ কী ধরনের লোক নিয়োগ দেবে, কী ধরনের ফার্মের মাধ্যমে নিয়োগ দেবে, কীভাবে বাজারে টেন্ডার আসবে, তাদের কী ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন আছে এগুলো নিয়ে গবেষণা করা। ফিলিপাইন এ ধরনের বাজার গবেষণার উদ্যোগ নেয়। আমাদের এখানে যে গবেষণা হচ্ছে তার সঙ্গে এই লিঙ্কগুলো এস্টাবলিশ করতে হবে। কিন্তু এই লিঙ্কগুলোকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া আমাদের এখানকার গবেষণাতে অনুপস্থিত রয়েছে।

প্রশ্ন : বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল গ্রেডের প্রশিক্ষণ এবং ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে পারলে দেশের শ্রমিকরা বিদেশে আরও ভালো করতে পারবে বলে মনে করেন কি?
তাসনিম সিদ্দিকী : অবশ্যই। পৃথিবীজুড়ে এখন একটাই কথাÑ দক্ষতা, দক্ষতা আর দক্ষতা। আমি সবসময় লো-স্কিল এবং আন-স্কিল বাজার অপারেট করব, সেটা তো হতে পারে না। এক্ষেত্রে ফিলিপাইন একটা উদাহরণ। তারা প্রথমে গৃহকর্মী পাঠিয়েছে। তারপরে সবকিছুকে দক্ষতার আওতায় এনেছে। বাংলাদেশ তো এই বাজারে অনেকদিন ধরে প্রবেশ করেছে। বাজার তো ফাঁকা থাকছে না। কেউ না কেউ তো ঢুকবে। ইতিমধ্যে অনেকেই ঢুকেছে। নেপাল ঢুকেছে, কম্বোডিয়া ঢুকেছে। সুতরাং বাংলাদেশ তার জায়গা হারাচ্ছে। তাই জায়গা ধরে রাখতে হলে, দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমাদের অনেকগুলো টিটিসি বা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। এই টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারগুলো যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, তা সাধারণ বিষয়ে। তা একদিক দিয়ে ভালো। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের সরকার এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে চাকরির সংযোগ ঘটাতে পারছে না। বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যাচ্ছে, তারা রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। যে দক্ষ সে তো টাকা দিয়ে যাবে না। সুতরাং স্কিল লোকের চাহিদার সঙ্গে স্কিল ম্যাচ করে বিদেশে পাঠানো যাচ্ছে না। যারা দক্ষতা অর্জন করছে, তারাও হতাশ হয়ে পড়ছে। কেউ হয়তো ড্রাইভিং শিখেছে, তাকে যেতে হচ্ছে কনস্ট্রাকশনের ভিসায়।

দক্ষতার আরেকটি দিক রয়েছে। ‘জাতীয় দক্ষতা নীতি-২০১১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বড় বড় দাতা সংস্থা, যেমন বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা এডিবি- এরা এই নীতি প্রণয়ন করতে সহায়তা করেছে। তারা যে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সহায়তা করেছে, সেই লক্ষ্য কিন্তু পূরণ হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ দক্ষতার ওপর গড়ে উঠবে বলে আমি মনে করি। আর ভাষাগত দক্ষতার বিষয়টি তো আছে। বিদেশে যেসব শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তার একটা বড় কারণ কমিউনিকেট করতে না পারা। ভাষাটা না জানার কারণে অনেক সময়ে কমিউনিকেট করতে অসুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে নারীদের বিদেশে যাওয়ার জন্য আমরা এক মাসের যে ট্রেনিং দিচ্ছি, সেখানে ভাষার উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। এক্ষেত্রে কেন আমরা শিশুদের যে পাঠ্যসূচি রয়েছে, সেখানে তিনটা ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করছি না। আমরা ফ্রান্স বা ইউরোপের অনেক দেশেই দেখি আরেকটা ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। শুধু ফ্রেঞ্চ বা ইংরেজি জানলে হবে না। যখন বাচ্চারা ছোট থাকে তখন বাচ্চারা দ্রুত ভাষা শিখতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটা বাচ্চা একইসঙ্গে তিনটি ভাষা শিখতে পারে। আমরা বারবার বলে আসছি, এক বা দুই মাসের ট্রেনিং নয়, ভাষাটাকে শিক্ষাব্যবস্থার অংশ করে তুলতে হবে। জাপানিজ, কোরিয়ান এবং আরবিÑ এই তিনটি ভাষার দিকে আমাদের মূলত নজর দিতে হবে। চীনা ভাষার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। সেটা ভবিষ্যতের ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে।

প্রশ্ন : মধ্যপ্রাচ্যে গৃহশ্রমিক হিসেবে যাওয়া নারীদের ক্ষেত্রে বেশি নির্যাতন হচ্ছে। তাদের অন্য কোনো শ্রমের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না কেন?
তাসনিম সিদ্দিকী : আমাদের দেশ থেকে যেসব নারী শ্রমিক সৌদি আরবে যাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশেরই ভিসা আসছে ব্যক্তিগতভাবে। অর্থাৎ যারা ওই দেশে থাকছেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে একটা বা দুইটা ভিসা পাঠাচ্ছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ভিসাগুলো সরকারি আওতায় পড়ে না। এমনকি, এসব ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোরও তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। যারা ভিসা দিচ্ছে, তারা অদক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে যাচ্ছে। যেমন, আটটি পেশায় লোক নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বাড়ির মালিকের। দারোয়ান, বুয়া, গার্ড, ড্রাইভারসহ আটটি পেশায় তারা লোক নিয়োগ দিতে পারে। একেকজন ব্যক্তির কাছে এই আটটি ভিসা কেনা হচ্ছে। ১০০০ ডলার দিয়ে তিনি এই ভিসাগুলোর একেকটি কিনে নিচ্ছেন। তারপর বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। এখানে দক্ষদের পাঠানো যাচ্ছে না কারণ হলো এই ভিসাগুলোতে আমরা লোক পাঠাচ্ছি। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে দাবি করতে পারি, যেসব পেশায় দক্ষ লোক প্রয়োজন আছে, সেসব পেশার জন্য ভিসাগুলো পাঠানো হোক। সেই অনুযায়ী আমরা টেকনিক্যাল সেন্টারগুলোতে প্রশিক্ষণ দিতে পারি। প্রশিক্ষণ দিয়ে লোকজন পাঠাতে পারলে কাজটা সহজ হবে।

প্রশ্ন : দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছিল সৌদি সরকার। এরপর গৃহ খাতে নারী শ্রমিক নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে আবারও খুলে দেওয়া হয় শ্রমবাজার। কিন্তু শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরব থেকে অনেক নারীই দেশে ফিরে আসছেন। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
তাসনিম সিদ্দিকী : এটা একটা বাস্তব সমস্যা। সরকার, সুশীল সমাজ এবং এমনকি সাংবাদিকদেরও এটা খুব স্পর্শকাতরতার সঙ্গে কিংবা সচেতনভাবে সামলাতে হচ্ছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই চাই না নারীর অভিবাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসুক। আবার এটাও চাই না নারীরা ওই দেশে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হোক। নির্যাতনের খবর যেমন আমরা শুনতে পাই, তেমনি ক্ষেত্রবিশেষ যৌন হয়রানির ঘটনাও ওখানে ঘটে থাকে। এই অবস্থায় আমরা কী মনে করছি? আমরা মনে করছি, সরকারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সবগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী শ্রমিক নেওয়া যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কী হবে? তাহলে নারী পাচার বেড়ে যাবে। কেননা তখন অনেক নারী যেতে চান, কিন্তু সরকারের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে তারা প্রতিবন্ধকতার শিকার হবেন। তখন নারী পাচার শুরু হয়ে যাবে। এখন বৈধপথে যাচ্ছে বলে, আমরা তাদের নিগ্রহের কথা জানতে পারছি। কিন্তু তখন সে বন্দি অবস্থায় চলে যাবে। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই বলব না, নারীর যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক। সৌদি আরবের বাজারটা সংকুচিত করে অন্য দেশের শ্রমবাজার নারী শ্রমিকদের জন্য সম্প্রসারণ করা যায় কি না সেটা ভাবতে হবে। জাপানে কিংবা হংকংয়ে অল্প নারী যাচ্ছে। এই অল্পকে কীভাবে বেশি করা যায়, সেটা ভাবতে হবে। তারা এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে। এটাকে কীভাবে ব্যাপক করা যায়, সেটা চিন্তা করতে হবে। এবং সৌদি আরবের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পেয়েছি, যারা ওখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নারী শ্রমিক নিচ্ছেন, সেসব ক্ষেত্রে নিগ্রহের ঘটনা বেশি ঘটছে। শিক্ষিত বা চাকরিজীবী পরিবারে যেসব নারী শ্রমিক যাচ্ছেন, তারা কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সৌদি আরবে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও ব্যাপক হওয়া দরকার। আরেকটি ব্যাপার হলো, ওখানে যাওয়ার পর নারী শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নেওয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে। আর ওখানে যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী আছে তারা যদি ছোট ছোট গ্রুপ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের তদারকি করে, তাহলে সমস্যা অনেকটা লাঘব হয়। এক্ষেত্রে দূতাবাস ভূমিকা নেবে। এইসব পেশাজীবীরা আরেকটি পেশার মতো করে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। এগুলো করে যেমন নারী শ্রমিক পাঠাবেন, আবার দক্ষ নারী শ্রমিক বাড়াবেন, সবই একসঙ্গে করতে হবে।

প্রশ্ন : রিক্রুটিং এজেন্সির চুক্তি অনুযায়ী, চাকরির প্রথম তিন মাস পর্যন্ত শ্রমিকদের দায়দায়িত্ব তাদের বহন করতে হয়। এরপর গৃহকর্মী শ্রমিকদের দায়দায়িত্ব আর রিক্রুটিং এজেন্সির থাকে না বলে তারা দাবি করছে। নারী শ্রমিকদের অবস্থা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব তাহলে কার? তাদের মনিটরিংয়ের কী ব্যবস্থা করা যেতে পারে? এক্ষেত্রে দূতাবাসের কী ভূমিকা থাকতে পারে?
তাসনিম সিদ্দিকী : রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরাসরি ভিসা দিচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে ভিসা কিনে আনছে। তাই যখন নারী গৃহকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তখন তাদের দায়িত্বটা কী? বড়জোর ফেরত নিয়ে আসা। এটা তো হলো না। এখানে রিক্রুটিং এজেন্সির দায়দায়িত্বটা বাড়াতে হবে। কেননা যিনি ফেরত আসছেন, তার তো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। তাই রিক্রুটিং এজেন্সিকে পরখ করে দেখতে হবে, যে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছ থেকে তারা ভিসা কিনছে, সেটা জেনুইন কি না। তাকে যেমন দায় নিতে হবে, তেমনি সরকারকেও দায় নিতে হবে। কেননা, সরকার এদের ভিসা সত্যায়িত করছে। এখন মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যে নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন, তাদের ক্ষেত্রে দেখতে হবে কোন রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের পাঠিয়েছে, এক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কে? সেসব মধ্যস্থতাকারীকে কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। সেই মধ্যস্থতাকারীর কাছ থেকে কোনো ভিসা আর কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি কিনতে পারবে না।

আর দূতাবাসের ভূমিকা তো রয়েছে। কেউ সমস্যায় পড়লে দূতাবাসে যায়। তার আগে দেখভালের ব্যবস্থা নেই। দূতাবাসের কাজ শুধু ফোন দিয়ে খোঁজ নেওয়া নয়। এক্ষেত্রে তারা ভারতের বিধিটি অনুসরণ করতে পারে। ভারত তাদের যেসব পেশাজীবী ওই দেশে কাজ করছে, তাদের স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করেছে। সেগুলোকে তারা বলছে সোশ্যাল সার্ভিস। ওই গ্রুপ তাদের খোঁজ রাখছে। যখন কোনো অন্যায় হচ্ছে, তখন গ্রুপ দূতাবাসকে জানাচ্ছে। এরকম একটি প্রক্রিয়া আবিষ্কার না করলে দূতাবাসের পক্ষে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।

 

– দেশ রূপান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *