বিলম্বে হলেও রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের মজুদদারি ভাঙতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ অদালত। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই অভিযানের প্রথম দিনেই মহানগরীর মাস্টারপাড়ার একটি বাড়িতে মজুদ করা ৩০০ বস্তা পেঁয়াজের সন্ধান মিলেছে।
এদিকে রাজশাহীর খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিকেজি ২০০ টাকা এবং দু’দিন ধরে প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বিমানে পেঁয়াজ আমদানি এবং সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় অভিযানের সময়ে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগের ২০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বিদেশ থেকে বিমানে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকলে দাম আরও কমে যেতে পারে। এই ভয়ে ২২০ টাকা দরে কেনা পেঁয়াজ অনেকে ২০০ টাকা কেজিতেই বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হওয়ায় নগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের পাইকারি আড়ত মাস্টারপাড়ার এবং সাহেব বাজারের অধিকাংশ খুচরা দোকান বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীরা।
অভিযানের পর এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য ছিল যে, একটি সিন্ডিকেট পেঁয়াজ আমদানি করে তা মজুদ করছে। তারা বাজারে গিয়ে তথ্য পাওয়া সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। তবে, রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ তুলনামূলক ভালো। তারা কোনোভাবেই পেঁয়াজ মজুদ করতে দেবেন না।
তিনি আরো বলেন, সন্ধান পাওয়া ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ বস্তা করে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীর সব খুচরা ও পাইকারি বাজারে ক্রয়পত্র দেখে ১৮ নভেম্বর সোমবার থেকে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়। বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাকে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে না আসা পর্যন্ত প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম।