মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের পুত্র হান্টার বাইডেনের দুর্নীতির তদন্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ খবর ফাঁস হওয়া মাত্রই তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি তোলে ডেমোক্রেটরা। ফলশ্রুতিতে শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু এতে খুশি হতে পারছেন না জো বা হান্টার বাইডেন। কারণ ফেঁসে যাওয়ার বিপুল আশঙ্কা আছে তাদেরও।
হান্টার বাইডেনকে যখন ইউক্রেনে গ্যাস কোম্পানি ব্যারিসমা হোল্ডিংস এর পরিচালক করা হয়, ব্যবসা সংক্রান্ত অনেকের চোখ কপালে উঠে গিয়েছিলো। কারণ সে সময় এ ধরণের কাজের কোনও ধরণের অভিজ্ঞতাই ছিলো না হান্টার বাইডেনের। জ্বালানী খাতের মতো জটিল একটি খাতে এতো উচ্চপদ একজন নবিশ পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এমনকি ভিন্ন কোনও উপায় অবলম্বন করে হান্টার এই পদ পেয়েছেন কিনা সে প্রশ্নও স্বাভাবিকভাবেই উঠে। এসব আলোচনা এবং প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই এসেছিলো তুখোড় ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। কিন্তু ট্রাম্প গুলিয়ে ফেলেছিলেন, তিনি কোনও সাধারণ ব্যবসায়ী নন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং কমান্ডার ইন চিফ। ফলে তার পক্ষে এই বিষয়ে ইউক্রেনকে ফোন করা উচিত হয় নি বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
বুধবার হাউজ কমিটির সামনে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা জর্জ কেন্ট। তিনি বলেছেন, হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির তদন্ত হয়, তার অন্তত ব্যক্তিগতভাবে এটি খুব ভালো লাগবে। তার মতে ব্যারিসমা হোল্ডিংসে হান্টারের পদলাভ স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করেছিলো। ট্রাম্প অভিশংসন শুনানির প্রথম শুনানিতে কেন্ট জানিয়েছেন, কি পরিস্থিতিতে ব্যারিসমা হোল্ডিংস বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। কেন্ট বলেছেন, এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মিখোলা জুভেস্কিকে ঘুষ দেয়া হয়েছিলো সে বিষয়ে শক্ত প্রমাণ আছে। তবে তিনি এও জানান, এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত সম্ভব হয়নি। বিষয়টির তদন্ত অব্যহত রাখা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প এই বিষয়ে ইউক্রেনকে চাপ দিয়ে নিশ্চয়ই অন্যায় করেছেন। কিন্তু বাইডেন ও তা ছেলেও অন্যায় মুক্ত নয়। তদন্ত যদি হয়, তবে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিৎ। যদি পেছনের দরজা দিয়ে হান্টারকে আসলেই ব্যারিসমার পরিচালক বানানো হয়ে থাকে, তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলার ও নির্বাচন করার নৈতিক অধিকার হারাবেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।