ফ্রান্সে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনের বার্ষিকীতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকালের এই বিক্ষোভে ব্যাংক, শপিং মল এবং রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন। খবর ডেইলি মেইল ও ফ্রান্স ২৪’
গতকালের বিক্ষোভ থেকে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৬শ’ তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। প্যারিসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী যোগ দেন। তারা ব্যাংক এবং সুপার মার্কেটে ভাঙচুর চালান। ব্যাংকের মধ্যে এইচএসবিসি এবং ব্রিটিশ ব্যাংকে ভাঙচুর চালানো হয়। ব্যাংকের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিলে তাদের দিকে আগুনের কু্ললি ছুঁড়ে মারা হয়। কাছের একটি শপিং সেন্টারেও ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। অনেক গাড়ি উল্টে দেওয়া হয় এবং কিছু গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুবই খারাপ পরিস্থিতি। তারা বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্রেসিডেন্ট আমাদের পছন্দ করেন না। এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা তাকে বলতে চাই যে, এখনো বড় বিক্ষোভ আয়োজনের ক্ষমতা আমাদের আছে। এসময় কেউ কেউ ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ স্লোগান দেন। বিক্ষোভের ফলে অনেক মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর ফ্রান্সে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ ভাগ ফরাসি ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকে সমর্থন করেন। যদিও ৬৩ ভাগ মনে করেন, এখনই বিক্ষোভ শুরু করা উচিত নয়।