কমিটিতে পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি জিডি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
রোজি বেগম নামে এক নারী থানা সাধারণ ডায়েরি করেন। তার অভিযোগ, তার ছেলে শাকিল হোসেন আনন্দকে যাত্রাবাড়ি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেহেদী ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।
তবে মেহেদী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কমিটিতে আসতে না পারার ক্ষোভ থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
রোজি বেগম জিডিতে বলেন, “মেহেদী হাসান ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, সেই সুবাদে আমার পরিচিত। আমার ছোট ছেলে মোহাম্মদ শাকিল হোসেন আনন্দকে (২৪) ছাত্রলীগের যাত্রাবাড়ি থানার সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে। পরবর্তীতে আমার ছেলেকে কমিটিতে না দিয়ে অন্য জনকে কমিটিতে পদায়ন করেছে।”
রোজি বেগমের স্বামী যুবলীগের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেহেদী আমার ছেলেকে নেতা বানানের কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি। অন্য বিবাহিত ছেলেকে দিয়ে কমিটি দেয়। আমি টাকা ফেরত চাইলে সে আমায় হুমকি দেয়।
“আমি দলীয় লোক হওয়ার পরও মেহেদী আমার সাথে এমনটা করেছে। শুধু তাই নয়, সে আরও পাঁচ-ছয় জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।”
মেহেদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি কমিটি হলে বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ থাকে। সেই ক্ষোভ থেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেন বঞ্চিতরা। যাত্রাবাড়ী ছাত্রলীগের কমিটি করার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। এখানে আর্থিক লেনদেনের কোনো বিষয় নেই।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেহেদীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি।”
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, “মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি জিডি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে বিষয়টি পুরো পুরি জানা যাবে।”