ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের নয়া ইতিহাস। প্রথমবার টিম ইন্ডিয়াকে হারিয়েছে টিম টাইগার্স। দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টিম ইন্ডিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে টাইগারদের ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় ইন্ডিয়া। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে মুশফিক-রিয়াদরা।

ছবিটা ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখতে চাইবেন প্রতিটা টাইগার ফ্যান। আরও অনেক সুখের অনুভূতিকে সরিয়ে মুশফিক-রিয়াদদের মনি কোঠায় জায়গা বানিয়ে নেবে রেকর্ড গড়া এই জয়। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম টিম ইন্ডিয়াকে হারিয়েছে টাইগাররা।

গেল কিছু দিন নানা ঘটন-অঘটনে নড়বড়ে হয়ে আছে টাইগার ক্রিকেটের গোড়া। দেশ সেরা ওপেনার তামিমও দলে নেই। সফরের ঠিক আগের দিন আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আলা হাসান। খর্ব শক্তির দল নিয়ে দিল্লির বিমানে উঠেছিলেন নয়া কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গে দিল্লির বায়ু দূষণের উটকো ঝামেলা। তবে, কোনো কিছু আটকে রাখতে পারেনি টাইগারদের। ইন্ডিয়ার ঘরে প্রথমবারের মতো থাবা বসালো টাইগাররা।

উইকেট স্পোর্টিং। স্পিনারদের জন্য নাই বাড়তি সহায়তা। টাইগার স্কোয়াডে তিন পেসার এবং তিন স্পিনার। টস জিতে বল হাতে তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। নতুন বলে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিলেন শফিউল ইসলাম। ইনকামিং ডেলিভারিতে ফর্মের চূড়ায় থাকা ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেনের আত্নবিশ্বাস ভেঙে চুরমার। ১০ রানেই রোহিত শর্মাকে হারায় টিম ইন্ডিয়া। উইকেটে জমে যাচ্ছিলেন শিখর ধাওয়ান আর কেএল রাহুল। ওদের ২৬ রানের পার্টনারশিপ ভেঙেছেন তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। লোকেশ রাহুলের পর শ্রেয়াস আইয়ারও বিপ্লবের বিপ্লবি ঘূর্ণিতে কাবু।

প্রান্ত ধরে রেখে রান বাড়াচ্ছিলেন ওপেনার ধাওয়ান। ৪১ করে রান আউটে কাটা পড়েছেন গাব্বার। শিভাম দুবে আর রিশভ পান্ত দুই ইয়াং স্টারকে গলা বড় করার সুযোগ দেয়নি টাইগার বোলাররা। লেজের দিকে ওয়াশিংটন সুন্দর আর ক্রুনাল পান্ডিয়ার ব্যাটিংয়ে নিজেদের পাল্লায় ৬ উইকেটে ১৪৮ রানের পুঁজি পায় ইন্ডিয়া।

জবাবী ইনিংসে লিটন দাসের সেই পুরনো রোগ। চোখ জুড়ানো দুই একটা শট। তারপরেই সিলি ডিসমিসাল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য-নাইমের ৪৭ রানের জুটি। ২৬ করে আউট হন নাইম। তবে, যাবার আগে জানান দিয়েছেন আগামি দিনের কথা। কড় গুনেই খেলছিলেন সৌম্য আর মুশফিক। ওদের ৬০ রানের পার্টনারশিপে পরিষ্কার হয় টাইগারদের ম্যাচ জয়ের রাস্তা। ৩৯ করে পথ হারান সৌম্য সরকার।

তবে, মুশফিকের ব্যাট আস্থায় অবিচল। ক্যাপ্টেন রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন নতুন ইতিহাস। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাপ মোচন। ৪৩ বলে ৬০ করেছেন মুশি। ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারকে আউট করতে পারেনি ইন্ডিয়ান বোলাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *